আমাদের অর্জন সমুহ :
(ক) পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম এর মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসরত জনগোষ্ঠির মধ্যে আর্থ সামাজিক পরিবার জরিপ কার্য পরিচালনার মাধ্যমে টার্গেট গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত করে দরিদ্রতম ওদরিদ্র শ্রেণিকে আর্থ সামাজিক কার্যক্রম শুরু করা হয়।স্বাধীনতা লাভের পর হতে অদ্য পর্যন্ত এ খাতে ১৬৭৩৮ টি পরিবারকে সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে ৭৮৯১৩০৫৮/- টাকা বিতরণ করা হয় এবং উক্ত টাকা শতভাগ আদায় করা হয় এবং পরবর্তী পর্যায়ে উক্ত টাকা ক্রম:পুঞ্জিত পুন:বিনিয়োগ হিসেবে ১৬৩৬৪টি পরিবারের মধ্যে তা আবার পুন:বিনিয়োগ করা হয়। যার আদায় হার কোন ক্ষেত্রে ১০০% এবং সমন্বিত আদায় ৮৬%।
(খ) সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী:
০১ বযস্ক ভাতা:
দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ্য দু:স্থ, অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত এবং অনগ্রসর মানুষকে মাসিক ৫০০/- টাকা এবং বার্ষিক ৬০০০/- টাকা ভাতা প্রদান করে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যদাবৃদ্ধি; আর্থিক অনুদানের মাধ্যম তাদের মনোবল জোরদারকরণ; চিকিৎসা ও পুষ্টি বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান।
অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা:
অনগ্রসর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অসহায়ত্ব, বেকারত্ব এবং সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে মুলত: এ কার্যক্রম চালু হয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি প্রদত্ত সাংবিধানিক আইনগত প্রতিশ্রুতি পুরণ হয়েছে। অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের আর্থ-সামজিক অবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। দু:স্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্ত কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণপূর্বক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাছাইকৃত প্রতিবন্ধীদের মাসিক ৭০০/- টাকা হিসেবে ভাতা প্রদান এবং এর ফলে সমাজে পরিবারে তাদের মর্যদাবৃদ্ধি।প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়টি জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তকরণ।
বিধবা ও স্বামী নিগৃহিতা মহিলা ভাতা :
দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ্য দু:স্থ, অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত এবং অনগ্রসর মানুষকে মাসিক ৫০০/- টাকা এবং বার্ষিক ৬০০০/- টাকা ভাতা প্রদান করে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যদাবৃদ্ধি; আর্থিক অনুদানের মাধ্যম তাদের মনোবল জোরদারকরণ; চিকিৎসা ও পুষ্টি বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান।
প্রতিবন্ধী ছাত্র উপবৃত্তি প্রদান :
প্রতিবন্ধী পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের ন্যায় বাংলাদেশ সরকারও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে দেশের দু:স্থ, অবহেলিত, পশ্চাদপদ, দরিদ্র, এতিম,প্রতিবন্ধী এবং অনগ্রসর মানুষের কল্যান এ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যাপক ও বহূমূখী কর্মসূচি পালন করছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে :
১। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি প্রদত্ত সাংবিধানিক ও আইনগত প্রতিশ্রুতিপুরন;
২। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন ও সমাজের মুলধারায় আনায়ন ;
৩। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গমনোপযোগী দরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধি;
৪।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিকৃত প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার বৃদ্ধি;
৫।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিকৃত প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের ঝরে পড়া রোধ :
৬।শিক্ষা চক্রের সমাপ্তি হার বৃদ্ধি;
৭।প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিতকরণের হার বৃদ্ধি;
৮। জাতীয় উন্নয়নে প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের অংশ গ্রহণের হার বৃদ্ধি;
৯। প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা জাগ্রতকরণ;
১০। দরিদ্র প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা;১
১।দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ এলাকার প্রতিবন্ধী ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করা;
সামিাজিক নিরাপত্তা বিধানে সরকার তার সাংবিধানিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিক্ষাথীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ জেলায় (প্রথম – ৫ম শ্রেণি -৬৫০ জন, ৬ষ্ঠ-১০ শ্রেণি-২৮৪ জন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর – ৮৪ জন, উচ্চতর – ৪৫ জন) ১০৬৩ জনকে মাসিক ৫০০/- টাকা, ৬০০/- টাকা, ৭০০/- টাকা, ১২০০/- টাকা হিসেবে বৃত্তি প্রদান করছেন। এর জন্য বার্ষিক ব্যয় ৭২,৯৮,৪০০/- টাকা ।এ পর্যন্ত এ জেলার ১৩০জন রোগীকে ৬৫,০০,০০০/- টাকা প্রদান করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস